যেভাবে ইহুদিদের আধিপত্যের বিস্তার ঘটেছে
দেড় কোটির ইহুদীরা যেভাবে বিশ্বে প্রভাব খাটাচ্ছে।
জনপ্রিয় খেলায় ওরা মাতেন না কেন?
ইসমাঈল হোসেন দিনাজী :
এখন ক্রিকেট আর ফুটবল নিয়ে বিশ্ব মোটামুটি মেতে আছে। মুসলিমসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এ দুটো খেলা নিয়ে মেতে ওঠে। তবে সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে এ খেলায় একটি জাতি কখনও মাতামাতি করে না। সেটি হচ্ছে ইহুদি জাতি। দারুণ কৌশলী এবং ইন্টেলেকচুয়াল হিসেবে এদের জুড়ি নেই কোনও সম্প্রদায়ের মধ্যে।
পৃথিবীতে ইহুদিদের মোট সংখ্যা মাত্র দেড় কোটির মতো। রাষ্ট্রও মাত্র একটি। আর সেটি ইসরাঈল। এ রাষ্ট্রে বসবাসকারী ইহুদির সংখ্যাও ৫৪ লাখ। বাকি প্রায় এক কোটি ইহুদি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। এর মধ্যে আমেরিকাতে ৭০ লাখ। কানাডাতে ৪ লাখ। আর ব্রিটেনে ৩ লাখ। বাকিরা বিভিন্ন দেশে।
ইহুদিরা মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ২%, আর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২%। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদি। কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে ঢাকা শহরের কাছাকাছি হলেও বিশ্বে ইহুদি সম্প্রদায় থেকে যুগে যুগে বেরিয়ে এসেছেন অসংখ্য প্রতিভাবান ব্যক্তি।
প্রধান ধর্মগুলোর পর পৃথিবীতে যে মতবাদটি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে সেই কমিউনিজমের স্বপ্নদ্রষ্টা কার্ল মার্কস ইহুদি।
বিশ্বের মানুষকে মুগ্ধ করে রাখা ম্যাজিসিয়ান হুডিনি এবং বর্তমানে ডেভিড কপারফিল্ডও একই কমিউনিটি লোক। এসেছেন আলবার্ট আইনস্টাইনের মতো বিজ্ঞানী, যাকে বিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলা হয়। অন্যদিকে প্রফেসর নোয়াম চমস্কির মতো শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক যাকে দেয়া ডক্টরেটের সংখ্যা আশিটিরও বেশি। অবাক হবার মতোই তথ্য। তাই না?
এসবের অন্যতম কারণ হচ্ছে: সাধারণ মার্কিনিরা যেখানে হাইস্কুল পাসকেই যথেষ্ট মনে করেন সেখানে মার্কিন ইহুদিদের ৮৫% বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া। আর মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমন: ওআইসি’র ৫৭টি দেশে বিশ্ববিদ্যালয় আছে পাঁচ হাজারের মতো। এক আমেরিকাতেই বিশ্ববিদ্যালয় আছে প্রায় ছয় হাজার এর কাছাকাছি। ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর একটা বিশ্ববিদ্যালয়ও যেখানে দ্য ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রেংকিং সাইটের প্রথম ১০০টা বিশ্ববিদ্যালয়েরর মধ্যে স্থান পায়নি, সেখানে প্রথম ১০০ এর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে আমেরিকার ৪৫টা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম দশটার মধ্যে সাতটাই। যেখানে প্রথম ২০০ এর মধ্যে ওআইসিভুক্ত ৫৭ টি মুসলিম দেশের একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে তুরস্কের বোগাজিসি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯ তম। উল্লেখ্য, আমেরিকার বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০% ছাত্রছাত্রী ইহুদি।
আমেরিকান নোবেল বিজয়ীদের মোটামুটি ৪০% ইহুদি। অর্থাৎ নোবেল বিজয়ী প্রতি চার থেকে পাঁচজনের একজন ইহুদি। আমেরিকার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ইহুদি। আমেরিকার উত্তর-পূর্ব উপকূলের ১২টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়কে একসঙ্গে আইভি লিগ বলা হয়। ২০০৯ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক’জন ভিসিই ইহুদি।
হতে পারেন ইহুদিরা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ। কিন্তু আমেরিকার রাজনীতিতে তাঁদের দাপট একচেটিয়া। আমেরিকার ১০০ জন সিনেটরের ১৩ জন ইহুদি। এর চেয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য হলো ইহুদিদের সমর্থন ব্যতীত কোনও আমেরিকানই প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না। এমনকি কেউ প্রেসিডেন্টও থাকতে পারেন না।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব যতোটা; আমেরিকার রাজনীতিতে ইহুদিদের প্রভাব তার চেয়েও অনেক অনেক বেশি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তহবিলসংগ্রহ একটা বড়ধরণের চ্যালেঞ্জ। বারাক ওবামা বা বিল ক্লিনটন নিজের টাকায় প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন? না। ডোনেশান এবং পার্টির টাকায় তাঁদের নির্বাচনী ব্যয় মিটাতে হয়েছে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ফা-দাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে: আমেরিকান ইসরাঈল পাবলিক এফেয়ার্স কমিটি। সংক্ষেপে এআইপিএসি।
আমেরিকার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ সবব্যাংক ইহুদিদের দখলে। ফলে আমেরিকার কেউ চাইলেও এদের কিছু করতে পারবেন না। বরং জুইশ কমিউনিটি বা ইহুদিদের হাতে না রাখলে ক্ষমতায় টেকা মুশকিল। এসব কারণে শুধু জুইশ কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যেতে হয়।
আমেরিকার রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে মূলত কর্পোরেট হাউজগুলো। তারা প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত বানাতে পারে। সরাতেও পারে। এসব কর্পোরেট হাউজগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, এদের মালিক কিংবা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলোর মূল দায়িত্বে থাকা প্রধাননির্বাহী কর্মকর্তা বা চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, সিইও হলেন ইহুদি কমিউনিটি থেকে আসা। এ কথা মাইক্রোসফটের ক্ষেত্রে যেমন সত্য তেমনই জাপানিজ কোম্পানি সনির আমেরিকান অফিসের জন্যও সত্য। প্রায় অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদে জুইশ আমেরিকানরা কাজ করছেন। জুইশ কমিউনিটির ক্ষমতাধর বিলিয়নিয়াররা মিলিতভাবে যেকোনও ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারেন।
মিডিয়াজগতে নজর দিলেও দেখা যায় একই চিত্র।
সিএনএন, এওএল, এইচবিও, কার্টুন নেটওয়ার্ক, নিউ লাইন সিনেমা, ওয়ার্নার ব্রাদার্স, স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড, পিপল-জেরাল্ট লেভিন সব ইহুদি মালিকানাধীন। এবিসি, ডিজনি চ্যানেল, ইএসপিএন, টাচস্টোন পিকচার্স, মাইকেল এসনার এসবও ইহুদি মালিক নিয়ন্ত্রিত। ফক্স নিউজ, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, রুপার্ট মার্ডুচের ২০ সেঞ্চুরি ফক্সও ইহুদি মালিক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। চারটি শীর্ষস্থানীয় মার্কিন পত্রিকার এবং সেগুলোর সম্পাদক ইহুদি। নিউইয়র্ক টাইমসের আর্থার সুলজবার্গার, নিউ ইউয়র্ক পোস্টের রুপার্ট মার্কডুচ, ওয়াশিংটন পোস্টের কেএম গ্রাহাম, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রবার্ট থমসন ইহুদি। এগুলো নিয়ন্ত্রণও করেন ইহুদি মালিকরাই। আপনার আমার প্রিয় সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ? তিনিও ইহুদি। যাবেন কই?
ইরাকের বিরুদ্ধে আমেরিকান আগ্রাসনকে আমেরিকার সাধারণ নাগরিকদের কাছে বৈধ হিসেবে চিত্রায়িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ফক্স নিউজ। বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া মুগলরুপার্ট মার্ডুচের নিয়ন্ত্রণাধীন এরকম প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই জুইশদের সমর্থন দিয়ে এসেছে। রুপার্ট মার্ডুচের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সারাবিশ্বের ১৮৫টি পত্রপত্রিকা ও অসংখ্য টিভি চ্যানেল। বলা হয়, পৃথিবীর মোট তথ্যপ্রবাহের ৬০% ই কোনও না কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণ করে রুপার্ট মার্ডুচের দ্য নিউজ করপোরেশন। টিভি চ্যানেলগুলোর মধ্যে এবিসি, স্পোর্টস চ্যানেল, ইএসপিএন, ইতিহাস বিষয়ক হিস্ট্রি চ্যানেলসহ আমেরিকার প্রভাবশালী অধিকাংশ টিভিই ইহুদিরা নিয়ন্ত্রণ করছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।
আমেরিকায় দৈনিক পত্রিকা বিক্রি হয় প্রতিদিন কমপক্ষে ৫৮ মিলিয়ন কপি। জাতীয় ও স্থানীয় মিলিয়ে দেড় হাজার পত্রিকা সেখানে প্রকাশিত হয়। এসব পত্রিকাসহ বিশ্বের অধিকাংশ পত্রিকা যে নিউজ সার্ভিসের সাহায্য নেয় তার নাম দ্য এসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি। এ প্রতিষ্ঠানটি এখন নিয়ন্ত্রণ করছেন এর ইহুদি ম্যানেজিং এডিটর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল সিলভারম্যান।প্রতিদিনের খবর কী যাবে আর না-যাবে তা ঠিক করেন তিনি।
আমেরিকার পত্রিকাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী তিনটি পত্রিকা হলো নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং ওয়াশিংটন পোস্ট। এ তিনটি পত্রিকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণও ইহুদিদের হাতে।
ওয়াটারগেট কেলেংকারীর জন্য প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল ওয়াশিংটন পোস্ট। এর বর্তমান সিইও ডোনাল্ড গ্রাহাম ইহুদি মালিকানার তৃতীয় প্রজন্ম হিসেবে কাজ করছেন। উগ্রবাদী ইহুদি হিসেবে তিনি পরিচিত। ওয়াশিংটন পোস্ট থেকে আরও অনেক পত্রিকা প্রকাশ হয়। এর মধ্যে আর্মিদের জন্যই রয়েছে ১১টি। এ গ্রুপের আরেকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত। টাইম এর পরে বিশ্বের দ্বিতীয় প্রভাবশালী এ সাপ্তাহিক পত্রিকাটির নাম নিউজউইক। আমেরিকান রাজনীতির জগতে প্রভাবশালী নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রকাশক প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ইহুদিরা হয়ে আসছেন। বর্তমান প্রকাশক ও চেয়ারম্যান আর্থার সুলজবার্গার প্রসিডেন্ট এবং সিইও রাসেল টি লুইস এবং ভাইস চেয়ারম্যান মাইকেল গোলডেন সবাই ইহুদি। বিশ্বের অর্থনীতি যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। আঠার লাখেরও অধিক কপি চলে এটির। এ পত্রিকার ইহুদি প্রকাশক ও চেয়ারম্যান পিটার আর কান তেত্রিশটিরও বেশি পত্রিকা এবং প্রকাশনা সংস্থা পরিচালনা করেন। এমন পাওয়ারফুল পারসন ক’জন আছেন পৃথিবীতে?
এবার প্রশ্ন হচ্ছে: ফিফা বিশ্বকাপের ৩২ দেশের ৩২ x ২৩ জন খেলোয়াড়ের কতজন ইহুদি আমরা জানি কেউ? উত্তর হচ্ছে একজনও না। এটা ভেবে দেখেছেন কেউ কখনও? মনে হয় না।
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৬ দেশের ১৬ x ১৫ জন খেলোয়াড়ের কেউ কি ইহুদি। তাও না।
যদি প্রশ্ন করা হয় পৃথিবীর বেস্ট ১০০ জন ফুটবলারের ক’জন ইহুদি? অথবা পৃথিবীর বেস্ট ১০০ জন ক্রিকেটারের ক’জন ইহুদি? উত্তর হলো: একজনও না। এর মানে কী জানি আমরা? মাথা ঘামিয়েছেন এসব নিয়ে কেউ?
বছরের কিছুসময় টি-টুয়েন্টি আর ফ্ল্যাশ মব। কিছুসময় আইপিএল আর চিয়ার্স লিডার। কিছুসময় ফিফা বিশ্বকাপ বা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ। বাকি সময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ আর স্প্যানিশ প্রিমিয়ার লিগ বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে ব্যস্ত থাকা আমাদের মনের মধ্যে কী কখনও এমন প্রশ্ন জাগে না?
কী করে জাগবে? পয়লা বৈশাখ, পয়লা ফালগুন, চৈত্র সংক্রান্তি, থার্টি ফার্স্ট আছে না? এতো কাজের ভিড়ে এ ধরণের হাইপোথিটিকাল চিন্তা মাথায় আসবে কেন? হ্যাঁ, আসবে না বলেই আমরা বসবাসের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে অযোগ্য শহরের বাসিন্দা। এ প্রশ্নগুলো আমাদের আসে না বলেই আমরা এমন একটা দেশের এমন একটা জাতির মানুষ, যেদেশের নাম নেইমার মেসিরা শুনেননি কখনও। যেদেশকে ভিক্ষুকের দেশ হিসেবে পৃথিবী চেনে। মধ্যপ্রাচ্য আমাদের চেনে ‘আবদুল’ আর কাজের বুয়ার দেশের লোক হিসেবে। যেদেশটি আন্তর্জাতিকভাবে টানা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবার রেকর্ড গড়ে।
একটা ফুটবলের ব্যাস হয়ত ২০ থেকে ৩০ সেমি অথবা একটা ক্রিকেট বলের ব্যাস আরও কম। হয়ত ১০ থেকে ১২ সেমি।
ইহুদিরা বিশ্বের বোকা মানুষকে ১০ থেকে ৩০ সেন্টিমিটারের এ ফুটবল ও ক্রিকেটবল নিয়ে ব্যস্ত রেখে ১২৮০০ কিলোমিটার ব্যাসের বেশ বড় একটা ফুটবল নিয়ে খেলছে। আর এ বড় ফুটবলটাই হচ্ছে পৃথিবী। সামান্য ক্রিকেট কিংবা ফুটবল নিয়ে দৌড়ঝাঁপ দেবার অবকাশ তাঁদের নেই। এসব খেলায় দুনিয়ার তরুণদের মাতিয়ে রেখে ইহুদিরা পৃথিবী নামক গোলকটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ব্যস্ত।
কোথায় কাকে চেপে ধরতে হবে, গুম, খুন করতে হবে, সবই তাঁরা করেন এবং করানও। কাউকে মানি, কাউকে মদ এবং কাউকে মাতারি বা মহিলা সরবরাহ করেন সুকৌশলে। একটাকে বলে এমথ্রি বা তিন ‘ম’। যেখানে যেটা ফিট করে সেটাই দেয়া হয়। কোথাও কোথাও সংস্কৃতির নামে নৃত্যগানের ব্যবস্থাও থাকে। পৃথিবীকে যেকোনওভাবে তাঁদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এই হলো তাঁদের লক্ষ্য, ধ্যান এবং সাধনা। তাই তাঁদের ফুটবল, ক্রিকেট নিয়ে মেতে থাকবার সুযোগ তেমন নেই। বরং মুসলিমসহ অন্যদের ফুটবল-ক্রিকেটে মাতিয়ে রাখতে তাঁরা নেপথ্যে যথেষ্ট অবদান রাখেন। বোঝা গেছে বিষয়টা?
This comment has been removed by the author.
ReplyDelete